Film Gauge explained Bangla 8mm, 16mm 35mm 70mm ফিল্ম গেজ ব্যাখ্যা বাংলা
অনলাইনে খুব ঘাটাঘাটি করে ফিল্ম ফরম্যাট বা ফিল্ম গেজ নিয়ে তেমন বাংলায় লেখা খুযে পেলাম না। আমি বাংলায় ফিল্ম গেজ নিয়ে ধারনা দেয়ার চেষ্ঠা করব। যারা নতুন ফিল্ম ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করছেন তাদের অনেকটা কাজে আসবে।
আমরা ফিল্ম ফর্ম্যাটকে ৪ভাগে ভাগ করে পয়েন্ট আকারে লিখব-
আট মিলিমিটার ফরম্যাট 8mm
ফোটোফিল্মের প্রচলিত ক্ষুদ্রতম আকার। এই ফিল্ম ফ্রেমের ফর্ম্যাট বা প্রস্থ ও উচ্চতার অনুপাত ১:৮৫: ১। ১৯৩২-য়ে এই ফিল্ম বাজারে ছাড়া হয়। ৮ মিমি মাপের এই চওড়া ফিল্মকে স্থাপন করা হত ১৬ মিমি চওড়া ফিল্মে। ৫০ ফুট ছবি তোলা হয়ে গেলে তাকে আবার উল্টো করে বসিয়ে বাকি ৫০ ফুট ছবি তুলে ল্যাবরেটরিতে পরিস্ফুটনের পর মাঝখান থেকে কেটে জুড়ে দিলেই ১০০ ফুট ফিল্ম পাওয়া যেত। এটির সঙ্গে তখন ব্যবহার করা হতো শব্দের ম্যাগনেটিক ফিতা। এই ফিল্ম মূলত অপেশাদার ও অব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য। ১৯৬৫-তে এই ফিল্মেযসার পরিমার্জিত সংস্করণ সুপার ৮ প্রবর্তিত হয়। সুপার ৮ মিমি-র স্প্রকেট ৮ মিমির তুলনায় একটু লম্বাটে ধরনের, ফলে ছবির ফ্রেমের মাপ কিছুটা বড় হয়। ৮ মিমি ফিল্মে ছবি তুলতে হয় আট মিলিমিটার মুভি ক্যামেরার সাহায্যে। তাকে ১৬ মিমি. বা ৩৫ মিমি. পজেটিভে বর্ধিত করা সম্ভব। কিন্তু বর্ধিত প্রিন্টের মান যথেষ্ট উন্নত হয় না।
ষোলো মিলিমিটার 16mm
Film Gauge explained Bangla 8mm, 16mm 35mm 70mm ফিল্ম গেজ ব্যাখ্যা বাংলা
কোডাক কোম্পানি ১৯২৩ সনে মূলত শৌখিন চিত্রনির্মাতাদের জন্য বোলো মিলিমিটার নেগেটিভ ফিল্মের প্রচলন করে। ১৬ মিমি-র জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সহ মুভি ক্যামেরা,
শব্দ-যন্ত্রাদি, প্রজেকটর, সম্পাদনা ও পরিস্ফুটন/মুদ্রণের যন্ত্রপাতি সুলভ হতে এবং শাদা কালো ও রঙিন ১৬ মিমি ফিল্ম স্টকের মান বৃদ্ধি পেতে বিশেষত উন্নয়নশীল দেশের পেশাদার চিত্র নির্মাতারাও ১৬ মিমি-তে ছবি তোলা শুরু করলেন, যে ছবি ৩৫ মিমি পজিটিভে বর্ধিত হয়ে ব্যবসায়িক ভাবেও মুক্তি পাচ্ছে। তথ্যচিত্র ও পরীক্ষামূলক/নির্দেশনামূলক চিত্র, এবং টিভি ছবি তো ধনী দেশগুলিতেও একসময়ে ১৬ মিমিতেই তোলা হত। কারিগরি দিক থেকে এই ফর্ম্যাট ক্রমে খুবই সমৃদ্ধ ও সফিস্টিকেটেড রূপ পেয়েছে। প্রচলন হয়েছে সুপার-সিক্সটিন-এরও। ডিরেক্ট সিনেমা, সিনেমা ভেরিতে, ফ্রি সিনেমা, আভঁ গার্দ ও আন্ডারগ্রাউন্ড চলচ্চিত্র আন্দোলনে এর ব্যাপক শৈল্পিক প্রয়োগও ঘটেছে। ১৬ মিমি ফিল্ম স্টকের প্রতি রীলে ৪০০ ফুট ফিল্ম ও প্রতি ফুটে ৪০টি করে ফ্রেম থাকে।
সত্তর/পঁয়ত্রিশ মিলিমিটার 35mm/75mm
আদি যুগ থেকে দীর্ঘকাল ৩৫ মিমি, চলচ্চিত্রের নিয়মিত ও প্রমাণ মাপের ফিল্ম ফর্ম্যাট। যার সূচনা এডিসনের হাত দিয়ে। নির্বাক যুগে ৩৫ মিমি ফিল্মের যে আকার ছিল সবাক যুগে এসে সাউন্ড ট্র্যাককে জায়গা করে দেবার জন্য পিকচার ফ্রেমের আকার তার চেয়ে ঈষৎ কমে গেল। ৩৫ মিমি ফিল্ম স্টকের প্রতি রীলে ১০০০ ফুট ফিল্ম ও প্রতি ফুটে ২৪টি করে ফ্রেম থাকে। ৩৫ মিমিতে ছবি তোলা, সম্পাদনা, মুদ্রণ ও প্রদর্শনের জন্য ৩৫ মিমি-মাপের বিভিন্ন যন্ত্র দরকার। সত্তর মিলিমিটারের প্রচলন হল বিগত শতকের পঞ্চাশের দশকের শেষ ভাগে। Super 35/৩৫ সিনেমাস্কোপেরও প্রচলন হল। ব্যবসায়িক, পেশাদার চলচ্চিত্রে ব্যাপক প্রচলিত ফিল্ম ফর্ম্যাটের মধ্যে এতদিন ৭০ মিমিই ছিল সর্বাধিক প্রসারিত আকার। কিন্তু সম্প্রতি IMAX ফিল্ম ফর্ম্যাটের প্রচলন হয়েছে। ৭০ মিমিতে ছবির বিভিন্ন কাজ করতে হলে ৭০ মিমি-মাপের যন্ত্রপাতি দরকার। ব্রো আপ করে তুলনীয় এফেক্ট আনা যায় না। ৭০ মিমি-র প্রসারিত পর্দায় দৃশ্যরস ও আবেদন অসাধারণ, কিন্তু এর শৈল্পিক ও কলাকৌশলগত সমস্যাও কম নয়। ব্যয়ও খুব বেশি (দ্র. চলচ্চিত্রের টেকনিক, রিডাক্শন প্রিন্ট, ষোলো মিলিমিটার ছবি)।
Film Gauge explained Bangla 8mm, 16mm 35mm 70mm ফিল্ম গেজ ব্যাখ্যা বাংলা