Complete Techniques in Filmmaking চলচ্চিত্র নির্মানের

সম্পূর্ন ফিল্ম মেকিং টেকনিক জানতে আমাদের একয়েক্টি ধাপে জানতে হবে সেলক্ষে ধর্য্য নিয়ে পড়ুন বোঝার চেষ্ঠা করুন কথা না বাড়িয়ে দারুন কিছু শিখি চলচ্চিত্র নির্মানে সম্পূর্ন কৌশল।

চলচ্চিত্রের ইতিহাস

ইতিহাস শব্দ শুনে অস্বস্থি বোধ/ভয় পাবেন না, আপনি কোন কিছু শিখতে বা করতে চাইলে সেই বিষয়ে ইতিহাস না জানলে &দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না। সাময়িক সময়ের জন্য এরিয়ে গেলেও প্রতিটি পদে ইতিহাসের বিভিন্ন দিক ও কর্মযোগ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

তাই আপনাকে একদম আদর্শ লিপি থেকে শুরু করতে হবে। ব্যাপার টা একটু অই বিয়ের জন্য মেয়ে দেখার মত,ব্যাকরাউন্ড কোন কিছু মিস হলে জীবন কুপোকাত..হা হা হা😊😊😊
চলচ্চিত্র বা মোশন পিকচার একটু বিশ্লেষন করে বলতে গেলে চলমান চিত্র থেকে চলচ্চিত্র শব্দটির উৎপত্তি ঘটে। দৃশ্যমান বিনেদনের এক বড় মাধ্যেম হচ্ছে চলচ্চিত্র। বাস্তব দৃশ্য ধারন করে চলমান চিত্রকে এনিমেশন তৈরি করে চলচ্চিত্র নির্মান হয়। বিশ্ব ব্যাপী এর বিভিন্ন নাম নামে পরিচিত পেয়েছে ফিল্ম,সিনেমা,ছায়াছবি,মুভি ইত্যাদি।

যেখানে শিল্প প্রতিটি কলার উপস্তিতি রয়েছে। এই চলচ্চিত্র ভিজ্যুয়ালকে বিশ্বে মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনার শক্তিশালী মাধ্যম বলা হয়েছে। কারন একটি সিনেমা একযোগে বিশ্বের মানুষকে কানেক্ট করতে পারে। চলচ্চিত্র একটি ভাষায় পরিনত হয়েছে।

একটু ভেবে দেখুন আপনি ভারত/বাংলাদেশ বা পৃথিবীর যেখানেই থাকেন না কেন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সকল সিনেমা আপনি বিশ্বে যে কোন প্রান্তর হতে দেখতে পারবেন। তেমন আপনি, আমি, আমরা বিশ্বব্যাপী এক যোগেই দেখতে পারছি। আধুনিক টেকনোলজির দুনিয়ায় সিনেমা হলের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওটিটি(অনলাইন স্ট্রিমিং প্লার্টফরম)।

১৮৬০ দশকে কৃত্রিমভাবে দ্বিমাত্রিক চলমান ছবির কৌশল আবিস্কার হয়। তখন জোস্ট্রপ এবং প্র‍্যাক্সিনোস্কোপ যন্ত দিয়ে ছবি বানানো হতো। এটি সাধারন আলোর ম্যাজিক লনঠন দিয়ে স্থীর চিত্র গুলোকে দ্রুত পরিবর্তন করে চলমান এনিমেশনে পরিনত করত,যা দর্শকের চোখে তেমন চোখে পরতো না।

সেলুলয়েডের স্থির ছবিগুলো ড্রামে সাথে গোল করে ঘুড়িয়ে মোশন তৈরি করছে।


এরপর আবিরভাব ঘটে সেলুলয়েড ফিল্ম, এটা দিয়ে বাস্তবে সরাসরি ছবি তোলা যেতো। এখানে মজার ব্যাপার সেলুলয়েডের স্থির ছবিগুলো ড্রামে সাথে গোল করে লাগিয়ে চলমান করে দর্শকদের ছবি দেখানো হতো, দর্শক মনে করতে তারা চলমান কিছু দেখছেন। এখানে মনোবিজ্ঞান বিটা ছবির লাভ করার ধারনা সূত্র বলে এক সেকেন্ডের ১০ ভাগের এক ভাগ সময় প্রতিটি ছবি দর্শকের চোখের রেশ ধরে রাখতে পারে, এই থেকে চললামের ধরনা পাওয়া যায়।

ক্যামেরা আবিস্কার হয় ১৮৮০ সালে সেই থেকে স্থির চিত্র ন্যাগেটিভ/রিলে ছবি সংগ্রহ করা হত, সেটাকে প্রজেক্টের মাধ্যেমে দেখানো হয়েছিল।
প্রথম দিকে সরাসরি দৃশ ধারন করে দর্শকে দেখানো হতো। সেই সব ছবিতে সম্পাদনার কোন সুযোগ ছিলো না।

১৮৯৪ সালে নির্বাক ছবি ব্যাবক সারা ফেলে তখন ডিসকন শব্দ ও ছবি নিয়ে গবেষণা শুরু করে….
এরপর চলচ্চিত্রের গতি প্রযুক্তির ছোঁয়ার সাথে সাথে বেড়ে উঠতে শুরু করে। যেমন ক্যামেরার সঙ্গে গল্প তোলা তখনো ছবি নির্বাক ছিল সাথে শর্ট মেইল রেখে সংগীত বাজানো সিনেমা হল মঞ্চে অর্কেস্টা দল থাকতো। হতে প্রযোজক সংস্থা এই ব্যবস্থা করে দিতে হতো।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলচ্চিত্র বিকাশিত হয়ে উঠলেও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে ইউরোপে এই শিল্পটি ততটা বিকশিত হতে পারেনি।
বর্তমান সময়ে হলিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নামে পরিচিত।
১৯২০এর দশক সের্গে আইজেনস্টাইন,চ্যার্লি চ্যাপলিন বুস্টার সহ নানা পরিচালক অভিনেতা মিলে চলচ্চিত্রের কাজ ইউরোপে শুরু করেন।

১৯২০ এর দশকে চলচ্চিত্রের প্রযুক্তির ব্যবহার এত হারে বাড়তে থাকে যেমন চলচ্চিত্র শব্দ সংগীত,কথোপকথন উদ্ভাবন হয় সমাজ চলচ্চিত্রের ইংরেজিতে এগুলোকে টকিং পিকচার বা বলা হত।
চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি চলচ্চিত্রে রঙের ব্যবহার শিল্পের বড় সংযোজন ছিল এটা শব্দ যুক্তির পর খুব দ্রুত নির্বাক চলচ্চিত্র হারিয়ে যাওয়া শুরু করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকায় রঙিন চলচ্চিত্রের ব্যবহার বেশি বেশি বাড়তি থাকে,আমেরিকান সবগুলো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।

আপনি চলচ্চিত্র আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন

-রাউন্ডে গার্ডেন সিনেমার দৃশ্য

১৮৮৮ নির্মিত হয় প্রথম প্রাচীনতম ইতিহাস চলচ্চিত্রটি করেছিলেন লুসি লে প্রিন্স সিনেমাটির নাম ছিল ”রাউন্ডে গার্ডেন সিন”
ল্যুমিয়ের ভ্রার্তদ্বয় ও ওগু্যস্ত মারিলুই নিকোলা।
তারা পৃথিবীর প্রথম দুজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।
আশা করি উপরোক্তা আলোচনা থেকে আমি আপনাকে একটা ধারণা দিতে পেরেছি চলচ্চিত্র কিভাবে আগমন ঘটে।

চলচ্চিত্রের ইতিহাস সম্পর্কে আরো পূর্ণাঙ্গ বিস্তারিত জানতে ব্লক পোস্ট ভিজিট করুন নিচের লিংকটিতে ক্লিক করুন।
এবার আমরা জানবো ভারতীয় উপমহাদেশী চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
ভারতীয় উপমহাদেশের সিনেমা নিয়ে কিছুটা মতাদেস রয়েছে যেমনটি ধরুন না ভারতীয় ইতিহাসে অনেক জায়গায় মানা হয় 1913 সালে ভারতের প্রথম সিনেমা সূচনা ঘটে অন্যদিকে “কিউরেটর ল্যুক ম্যাককার্নান” মতে ১৯১৩ সালের আগেই চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সূচনা ঘটে।

১৮৯৬ সালের ৭ জুলাই বোম্বেতে এসেছিল প্রথম চলচ্চিত্র চার্ট নামের এক ভদ্রলোক দিয়ে তাদের তৈরি কিছু শর্ট ফিল্ম পাঠিয়েছিলেন যা দেখানো হয়েছিল সোয়াস্কি ওয়াটসন হোটেলে
যেখানে দর্শকের মধ্যে বেশিরভাগ দর্শকই ছিলেন হীরালাল সেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কিন্তু দুই বছর পরে কলকাতায় বসে দেখেছিলেন।

কাকতালীয় ভাবে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ফটোগ্রাফার হরিশচন্দ্র ভাতা দেব্দকার (যিনি সাভে দাদা নামে পরিচিত) মুম্বাই সে প্রদর্শনী দেখেই সে তৎক্ষণিকভাবে নিজের জন্য ইংল্যান্ড থেকে একটি ক্যামেরা অর্ডার করে নিয়ে আসে।
ভারতীয় চলচ্চিত্রকারের প্রথম চলচ্চিত্র ধারণ করা হয় ১৮৯৯ সালে,সেটি দিয়ে কুস্তি প্রতিযোগিতার দৃশ্য ধারণ করা হয়ে ক্যামেরাটিতে, মুম্বাইতে প্রথম অপারেট করা হয়েছিল।
আর ওদিকে সর্বপ্রথম বাঙালি চিত্রকাদের মধ্যে রয়েছেন হীরালাল তিনি প্রথম পুরুষ ক্যামেরা হাতে ধরেছিলেন।
তার ছবিতে ব্রিটিশ ভারত সমগ্র ইংল্যান্ড প্রশংসা পঞ্চমুখ ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতবর্ষের প্রথম অস্কারে জায়গা করে নেয় সত্যজিৎ রয়ের পথের পাঁচালী সিনেমাটি। যারা বাঙালি চলচ্চিত্রগুলোতে অবদান রেখেছেন সত্যজিৎ রায় ঋত্বিক ঘটক মৃণাল সেন উল্লেখযোগ্য।

এখন আপনার মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগতে পারে আমরা তো ভারতীয় উপমহাদেশের সিনেমা নিয়ে কথা বললাম, বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে কেন কথা বলছি না আসলে তখন ভূখণ্ডে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং বাংলাদেশ-ভারত নেপাল ভুটান এই সমগ্র দেশ ভারতীয় উপমহাদেশ নামে পরিচিত ছিল। আর সত্যি কথা বলতে বাংলাদেশের নিজস্ব সমৃদ্ধ কোন ইতিহাস নেই।
তবে আমাকে খানিকটা ভুল প্রমাণিত করতে পড়ার জন্য আপনি বোধহয় ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, সত্যজিৎ রায় এদের দেখিয়ে বলবেন কি বলছি কিন্তু আমি বলব একটু ভেবে দেখবেন তারা কিন্তু কেউ বাংলাদেশের সম্পদ নয় বাংলা সিনেমায় তাদের অবদান অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। যখন প্রশ্নটা বাংলাদেশ নিয়ে তখন আমি জহির রায়হান, তারেক মাসুদ এদের বাইরে আমি আর কাউকে পাচ্ছি না।


তারেক মাসুদ কিংবা জহির রায়হান এদের বাংলাদেশের সিনেমার অবদান অনেক বেশি বাংলাদেশী সিনেমা প্রত্যেকটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে প্রজেক্টর কাধে নিয়ে এই তারেক মাসুদ স্যার ঘুরে বেরিছেন ঘুরে বেরিয়েছেন।
আপনি এদের সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ইতিহাস জানতে এবং আমার ব্লগ কটি ভিজিট করে দেখতে পারেন
যাই হোক ইতিহাস নিয়ে আর কথা বাড়াচ্ছি না বলতে গেলে ইতিহাস কখনো শেষ হবে না বাড়তে থাকবে।

তবে ইতিহাসে প্রত্যেকটি বিভাগের যে বিশ্লেষণ গুলো আপনি আমার ব্লক সাইটের হিস্টরি অফ ফিল্ম ক্যাটাগরিতে পেয়ে যাবেন করে দেখতে পারেন আর সহজে চলে যেতে লিঙ্কে ক্লিক করুন।
উপরোক্ত আলোচ্যের বিষয় ছিল চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক ইতিহাস
ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস
বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সূচনা

Complete Techniques in Filmmaking চলচ্চিত্র নির্মানের সম্পূর্ন কৌশল

চলচ্চিত্র বিদ্যা গুরু মুখী বিদ্যা না

আমি অনেকদিন ধরেই চলচ্চত্রের সাথে আছি বলতে পারেন শিখছি, শেষ কবে হবে বলতে পারছি না, বলতে পারেন আমি যেখানেই জ্ঞান আহরন করার সুযোগ পাই আমি লুফে নেই। আমি মনে করি চলচ্চিত্রের পাঠ, এক্সট্রা অডিনারি শিক্ষা চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য জরুরি এতে চলচ্চিত্র নির্মানের বোঝা পড়াকে সহজ করে দেয়।
মনে রাখবে চলচ্চিত্র বিদ্যা গুরুমূখি বিদ্যা না।
আমার কাছে অনেকেই চলচ্চিত্র নির্মান/ কন্টেন নিয়ে প্রশ্ন করে, পরিচিত জন থেকে নেট দুনিয়ায় হর হামেশা ফিল্ম/ কন্টেন নিয়ে আগ্রহী ভাই,বন্ধুদের প্রশ্নের শেষ নেই। যেমন :আমি কিভাবে সহজে চলচ্চিত্র কাজ শুরু করতে পারি?
আমি কিভাবে শর্টফিল্ম বানাতে পারি? কি কি দরকার আছে? কিভাবে অভিনেতা খুজে পাবো? শুরুতে কি রকম বাজেট লাগতে পারে। কিরকম ভাবে আয় করা যায়? মোবাইল দিয়ে সিনেমা বানাতে পারবো কি না? এমন প্রশ্ন সম্মূক্ষিন আমি নিজেই হই।
তাই তাদের জন্য আমার চলচ্চিত্র উপর লেখাটি এযাবত কালে বাংলায় চলচ্চিত্র বিষয়ক পূর্নাঙ্গ তেমন কোন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় নি। আমার ৭/৮ বছরের পার্সোনাল এক্সপেরিয়ান্স সহ সব কিছুই আমি তুলে ধরব। আমার ব্লগের সাথে থাকুন চলচ্চিত্র নিয়ে এমন লেখা অনলাইনে প্রথম প্রকাশ হচ্ছে।
চলুন শুরু করা যাক তবে শুরু করার আগে একটি বিষয় বলে রাখি চলচ্চিত্র নিয়ে একটি পোস্টএ সব জানানো সম্ভব না। আপনি আমার ব্লগের ঘুরে প্রতি টপিকের পূর্নাঙ্গ তথ্য পাবেন। কোন টপিক বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

সিনেমার ধরন

এখন আমরা কথা বলবো সিনেমার ধরন নিয়ে।
আচ্ছা আপনার মধ্যেই এখনই একটা সাধারণ প্রশ্ন জাগতে পারে? সিনেমার ধরন কি? আসলে একটু খুলে বলতে গেলে ধরন হচ্ছে সিনেমার বিভাগ বা ক্যাটাগরি

আপনার ফিল্ম বানানোর ক্ষেত্রে প্রথমেই আইডিয়া স্টেজে কাজে লাগবে, সেটার উপর ডিপেন্ড করবে আপনার স্ক্রিপ্ট।
হ্যাঁ আমি একে একে আপনাকে বুঝিয়ে দিব তবে এখন আমরা একটু ধরন সম্পর্কে জেনে নিব ছোট্ট করে আলোচনা হবে। এখন আমরা কথা বলবো সিনেমার ধরন নিয়ে এটি ইংলিশ এর জনরাও বলে থাকে।


প্রাথমিক পর্যায়ে এই সিনেমার জনরার উল্লেখযোগ্য টপিক নিয়ে আলোচনা করব।

  • ডকুমেন্টারি ফিল্ম
  • ফিচার ফিল্ম
  • হরর
  • সাই ফাই
  • অ্যাডভেঞ্চার
  • মিউজিকাল
  • মিস্টিরিয়াস
  • ক্রাইম
  • ডার্ক কমেডি
Documentry Film

বাংলায় অর্থ তথ্যচিত্র। যেখানে বাস্তবে সাদৃশ্য মিল রেখে সিনেমা বানানো হয়। নিউজ প্রতিবেদন চিত্র এক ধরনের ডকোমেন্টরি ফিল্ম বা তথ্যচিত্র বলা হয়। বিস্তারিত জানতে_

রোমান্স

যে সব ধরনের চলচ্চিত্রে ভালোবাসা, প্রেম সম্পর্ক বন্ধুত্ব ইত্যাদি সমন্বয় নির্মিত হয়ে থাকে সেগুলো রোমান্টিক চলচ্চিত্র জনরা হিসেবে ধরা হয়।

থ্রীলার

যে ধরনের চলচ্চিত্রে ক্রাইম নির্ভর করে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টার মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেটা থ্রিলার গল্পের সিনেমা বলা যেতে পারে। থ্রিলার সিনেমা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে

SI-FI


সাইজ আমরা সিনেমাতে বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি এবং ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে নির্মিত করা হয়। এই ধরনের সিনেমাতে ৫০ বছর আগে সাইজ বিশদ বিভিন্ন গবেষণা নিয়ে নির্মিত হয়ে থাকে। বিস্তারিত জানতে
অ্যাডভেঞ্চার
অ্যাডভেঞ্চার রোমাঞ্চকর, দুঃসাহসী অভিযানের গল্পের উপর নির্মিত সিনেমা কে অ্যাডভেঞ্চার জেন্ডার সিনেমা বলা হয়।
বিস্তারিত জানুন
Mysterious

বাংলায় অর্থ হচ্ছে রহস্যজনক গল্পের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র উচ্চমাধ্যমে যেকোনো রহস্যকে ভেদ করে একটি গল্প বলা হয় বা সিনেমা নির্মাণ করা হয় . বিস্তারিত

কমেডি


কমেডি সিনেমা মাধ্যমে একটি গল্প বলা হয় সিনেমা দেখেছি, বেবিস ডে আউট হিন্দি সিনেমার মধ্যে হেরে ফিরে এই ধরনের হাস্যরসিক যেসব চলচ্চিত্র তাদেরকে কমেডি সিনেমা জনরা ফেলা হয়েছে।

উপরোক্ত যেসব জনরা/ধরন নিয়ে আমি আলোচনা করেছি সেগুলো সবই সংক্ষিপ্ত করে বলেছি। আপনি যদি প্রতিটি যন্ত্র সম্পর্কে পুরো বিস্তারিত জানতে চান ব্লকটি ঘুরে দেখুন। আশা করি প্রত্যেকটা বিষয়কে আপনি পূর্নাঙ্গ ধারনা পেয়ে যাবেন।

সম্পূর্ণ সিনেমা তৈরি A to Z

ইতি মধ্যে আমি চলচ্চিত্র ইতিহাস ও ধরন একটা স্পষ্ট ধারনা দিয়েছি।
আমি জানি অনেকেই শুধু অপেক্ষা করছেন টেকনিক শেখার। আসলে আমি এই আর্টিকেলে আপনাকে চলচ্চিত্র এডভান্স ফিল্ম মেকিং কোর্স করিয়ে দিচ্ছি যেটা দিয়ে আপনি সম্পূর্ণ সিনেমা তৈরি A to Z জেনে ফেলবেন।

সেই সাথে নানা টিপস,ট্রিকস এপ্লাই বাস্তব অভিজ্ঞতার আদলে সম্পূর্ণ ফিল্ম মেকিং কোর্স বাংলা ভাষায় এই প্রথম।
আন্তর্জাতিক স্ট্রান্ডার্ড ফিল্ম মেকিং এর পুরো কোর্সটি পড়ে সিনেমা নির্মানে এগিয়ে যেতে পারবেন।

কন্টেন্ট বানানো সহজ, সিনেমা নয়

পরের স্টেপ যাবার আগে একটি কথা জানিয়ে দিচ্ছি ‘আপনি অনেক সময় একটি চলচ্চিত্র নির্মান আর কন্টেন্ট নির্মানের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। কন্টেন্ট নির্মান সহজ চলচ্চিত্র নির্মান না, কথাটা শুনে আপনার খটকা লাগতে পারে। আপনার মনে হতে পারে সিনেমাও তো একটা কন্টেন, আমি বলব আপনি ঠিক বলছেন কিন্তু ভুল জানতে পারছেন নির্মান এর জায়গাতে..?
আমি একটু খুলে বলছি কন্টেন শব্দটা বেশি ব্যাবহার অনলাইন দুনিয়া, সেই ধারনার উপরে ভিত্তি করে মাইন্ডে চেপে বসেছে।
আপনি মোবাইল দিয়ে একটা বাড়ির ভিডিও করে আপনার স্যোশাল মিডিয়া আপ্লোড করলেন, তো এটা আপনার বানাতে খুব ভাবতে হয়নি। সিনেমা বানাতে গেলে অনেক কিছু মাথায় রেখে আগাতে হবে। শিখতে হবে, অনেক অনেক রিসোর্স করতে হবে,টেকনোলজিস বিষয় জানতে হবে সব চেয়ে বড় কথা প্রসেস জানতে হবে।

এজন্যই আমি বলেছি কন্টেন্ট বানানো সহজ, সিনেমা নয়। যাই হোক আমরা চলচ্চিত্র নির্মান দিকে এগিয়ে যাব।

কয়েকটি ধাপে আমরা চলচ্চিত্র নির্মান শিখে ফেলব সাথে আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সিনেমাটি তৈরি করে ফেলব।
নির্মান শুরু করার আগে প্রতি ধাপের বিষয় আমরা জেনে নিব। বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা একটু আলোচনা করে নিতে হবে তা না হলে সামনের পর্যাগুলো খুব একটা বোধগম্য হবেনা।

সিনেমা নির্মানের জন্য অনেক গুলো ধাপ অবলম্বন করা হয় তার ভেতর দুটি ধাপ
প্রি-প্রডাকশনপোস্ট প্রডাকশন
যথারিতী প্রশ্ন আসব এর কাজ কি.?
ঘুড়ি পেচিয়ে না বলে উত্তর দিচ্ছি
আপনি সিনেমা নির্মানের প্রস্তুতি বা প্রিপ্লান থেকে শুটিং শেষ পর্যন্ত কে বলা হয় প্রি- প্রডাকশন। যেমন: স্ক্রিপ্টিং,শর্ট ডিভিশন , লোকেশন, অডিশন রিহার্সাল ইত্যাদি।

পোস্ট- প্রডাকশন


শুটিং পর থেকে ইডিটিং টেবিলে যে সকল কাজ সম্পূর্ণ করা হয় তাকে পোস্ট প্রডাকশন বলে। যেমন: রককাট,মিউজিক ভিএফক্স সিগি আই ইত্যাদি।
আশা করি আপনারা প্রি-প্রডাকশন ও পোস্ট প্রডাকশন সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছি এবার আমরা ফিল্ম মেকিং এর দিকে যাব….

★ প্রি-প্রডাকশন কাজ গুলো

  • স্টোরি আইডিয়া (গল্প ধারনা)
  • স্ক্রিপ্ট
  • স্ক্রিন প্লে (চিত্রনাট্য) ও স্টোরি বোর্ড
  • সিনেমাটোগ্রাফী
  • সরঞ্জাম
  • ক্রু
  • লোকেশন রেকিকাস্টিং
  • মেকাপ
  • রিহার্সাল
  • সেট ডিজাইন
  • প্রডাকশন ডিজাইন
  • .শর্ট ডিভিশন
  • শুটিং ডে_

স্টোরি আইডিয়াল


আপনি সিনেমা বানানোর সর্বপ্রথম যা লাগবে তাহল আপনার গল্পের আইডিয়া। এই গল্পের আইডিয়ার উপর অনেক কিছু ডিপেন্ড করছে।
আপনার কতটা ইউনিক গল্প বলছেন?দর্শক পছন্দ করবে কি..না, আপনি সমাজের কোন দিক নিয়ে সিনেমা বানাবেন কি না।
আমাদের চার পাশে এমন এক আডিয়া নিয়ে হবে এটা মানুষকে টাচ করতে পারে।
তাই আপনি আইডিয়া ভাবতে শুরু করুন চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের কথাটি মনে পড়ে গেল “” ভাবো…ভাবো…ভাবা প্রাক্টিস করো”” করে ফেলুন তবে আমি এ ক্ষেত্রে একটা আইডিয়া স্টোরি বিল্ডয়াপ করেছি।
আমার আইডিয়া সমাজের অপরাধ ঘুরে ফিরে আসে একদম শেষ হয়ে যায় না এর ধর্ষকে বেছে নিলাম।
আমার সিনেমাটি শর্টফিল্ম হবে
তাই যত কম সময় গল্পটা বলা যায়।
গল্প পল্ট: শতাব্দী নামের একটি মেয়ে রেপের শিকার হবে। পরে সমাজে তাকে সহানুভূতি নামে প্রশ্ন বৃদ্ধ করছে…তুলেছে.।

স্ক্রিপ্ট

প্রথমেই বলি স্ক্রিপ্ট কি? যে আইডিয়া উপর গল্প দ্বার করিয়েছেন কাহিনিটা কয়েকটা ভাগে বর্নানা করতে হবে।
যেমন: (সময়), দৃশ্য, (সিন), সংলাপ(ডায়লগ) ইত্যাদি। আপনি ফিল্ম মেকিং জার্নিতে মনে রাখতে হবে স্ক্রিপ্ট হচ্ছে একটি নীল নকশা।
স্ক্রিপ্ট যেভাব লেখা সেই ভাবেই সিনেমার গল্প এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই আমরা পরামর্শ, স্ক্রিপ্ট লেখায় সময় নিন। নতুনদের নির্মানের ঝোক থাকায় স্ক্রিপ্টে কম নজর দেয়, যার কারনে সিনেমাটা প্রপায় ডিস্ক্রাইব করতে ব্যার্থ হয়।
তাই মনে রাখুন স্ক্রিপ্ট হচ্ছে ভালো সিনেমার হাতিয়ার। এই কথাটি শুধু আমি না বিশ্বের মাস্টার ফিল্মমেকারগন একই কথা বলছেন যেমন চলচ্চিত্র পরিচালক আইজেনস্টাইন একবার প্রশ্ন করা হল একটি ভালা চলচ্চিত্রে কোন বিষটি গুরুত্বপূর্ণ উনি বলেন আমার তিনটি থিং তাহল :স্ক্রিপ্ট, স্ক্রিপ্ট ও স্ক্রিপ্টা।
একটি আদর্শ স্ক্রিপ্ট সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে থাকে।
চলুন আমি স্ক্রিপ্টের কাজ শুরু করেছি….
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নাম ঠিক করলাম ”বন্দি শতাব্দী”
নিচে স্ক্রিপ্টের নমুনা দেয়া হল স্ক্রিপ্ট কিভাবে লিখতে হয় জানতে ক্লিক করুন।

স্ক্রিন প্লে বা চিত্রনাট্য

Screenplay বা চিত্রনাট্য নিয়ে একথা বললে শেষ হবে না আমি প্রথমিক ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব। চিত্রনাট্য কি? চিত্রনাট্য বা স্ক্রিন
সিনেমার জন্য দৃশ্য রচনাকে বলে। যেমন আর্টিস্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি অব্জেক্ট মুভমেন্টকে লেখা হয়।
[যেমন: রিতু নদীর দিকে তাকিয়ে আছে, তার চুল গুলো উরছে,পাশে এসে আশিক দাঁড়িয়ে রিতুর দিকে তাকিয়ে আছে
ডায়লগ: কিরে তাকিয়ে আসিস কেনো? কিছু বলবি]
আশা করি আপনাকে একটা ধারনা দিতে পেরেছি।
আমি আমার ছোট সিনেমার স্ক্রিপ্ট ও চিত্রনাট্য শেষ করেছি।
এপর্যায় আমার একজন সিনেমাটোগ্রাফার লাগবে। তবে সিনেমাটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারনা দিচ্ছি

সিনেমাটোগ্রাফি

সিনেমাটোগ্রাফি কি.?
চলচ্চিত্র নির্মানের দৃশ্য ধারনের বিভিন্ন কম্পজিশন করা এংেলকে সিনেমাটোগ্রাফি বলে।
একটু খুলে বলি আপনি সিনেমা দেখার সময় একই লোকেশন বা বিভিন্ন দৃশ্যের নানা রকম এংেল দেখে থাকেন সেটা মুলত সিনেমাটোগ্রাফি ভাষা সাথে হয় যেমন ক্লোজ শর্ট, লং শর্ট, আপ শর্ট, বি-রোল ও প্যান ইত্যাদি। আর এখন সিনেমাটোগ্রাফার স্ক্রিপ্ট ও চিত্রনাট্য , লোকেশন এবং দৃশ্যর মন্তাজ অনুযায়ী আমার স্বপ্ন বা পরিকল্পনা তিনি ক্যামেরায় বন্দি করবে। আপনার চলচ্চিত্র বাস্তব রুপ দিতে মূখ ভূমিকা পালন করবে।
আপনি নিজে পারলে বেশ ভালো কিন্তু চাপেরও হয়ে যেতে পারে ডিরেকশন জায়গায় বসে। তবে এগিয়ে যাই চলুন।
আমি বন্দি শতাব্দীর জন্য সিনেমাটোগ্রাফার নিয়োগ দিয়েছি এবং পাশাপাশি আমি ও সিনেমাটোগ্রাফি দেব।

সিনেমাটোগ্রাফি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে ক্লিক করুন।

সরঞ্জাম

ক্যামেরা

আপনার সিনেমাটি বানাতে প্রথমে লাগবে
ক্যামেরা যেটা আপনি ক্যামেরা হাউজ বা আপনার নিকট ভাই বন্ধুর সাহায্য নিতে পারেন।
আপনার শর্ট ফিল্মের জন্য Sony Aiii নিয়ে কাজ করতে বড় সিনেমা হল RED, নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।

লেন্স

আপনার শর্টের ডিমান্ড অনুযায়ী লেন্স নেয়া নিতে হবে। লেন্সের ব্যাবসার নিয়ে আমার একটি লেখা আছে ক্লিক করে পরে নিন। 35mm,50mm 200mm সিনেমার ক্ষেত্রে প্রাইম লেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

লাইট

এপর্যায় আপনার লাইট নিতে হবে তবে আপনার স্ক্রিপ্ট কোথায় কোথায় লাইট লাগবে তা অনুযায়ী নেবেন নাহলে খরচ বেড়ে যাবে।
মনে রাখবে ক্যামেরার দৃশ্য ধারনে সময় প্রচুর আলোর দরকার হয়ে থাকে। আরো কিছু লাগবে তা মেটাবে রিফ্লেক্টর যা আলোর মুভমেন্ট ঘটাবে।

মাইক্রোফোন বা বুম

ভালো রকম একটি মাইক্রোফোন নিবেন যাতে শুটিং সময় দৃশ্য বা ক্যারেক্টর ভয়েসে এক্ট্রা নয়েজ না আশে তবে আউটডোর লোকেশনে নয়েজ ছাড়া শুটিং পসিবল হবে না। ডাবিং করে নিবেন।
স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনে অনেক সরঞ্জাম লাগতে পারে

গিম্বল

ক্যামেরার স্মুথ রোলিং, বি-রোল শর্টের ঝাকি হীন শর্টের জন্য ব্যাবহার করব। আপনি করতে পারেন যদি রোলিং শর্ট বেশি থাকে।

ক্রু

এখন আমার প্রতিটি ডিমেন্টের জন্য টেক্নিক্যাল ক্রু হায়ার করতে হবে। যেমন, এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টের, প্রডাকশন ম্যানেজার, কস্টম ডিজাইনার ইত্যাদি। আমি নিয়ে ফেলেছি আমার টিম…

লোকেশন রেকি

  • এবার আমি সিনেমার দৃশ্য কোথায় কোথায় ধারন হবে স্ক্রিপ্টের সাথে মিল রেখে করতে হবে তাই টিম নিয়ে লোকেশন রেকি করে ফেলতে হবে।
  • আমি লোকেশন রেকি টিম গঠন করে নিলাম
  • আমই(পরিচালক)
  • সিনেমাটোগ্রাফার
  • এডি
  • স্ক্রিপ্ট এনালাইজার
  • দুজন ইনফরমাল য্যারা আমাদের লোকালি গাইড করবে।
  • এদের নিয়ে আমার লোকেশন রেকি যাত্রা শুরু করব।

কাস্টিং/ অভিনয় শিল্পী নির্ধারণ

চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজনা সবচেয়ে চিন্তার জায়গা অভিনয় শিল্পী বাচাই করা স্ক্রিপেটের সাথে ভালো পার্ফামেন্স ও পার্ফেক্ট চরিত্র বাছাই করতে হবে। ভালো অভিনয় শিল্পী না হলে চলচ্চিত্র নির্মান ব্যার্থ হতে পারে যেখানে অডিয়ান্স বা দর্শক সিনেমা ডেপথ খুজে পাবে না। তাই আমার পরামর্শ আপনি মোটামুটি ভালো অভিনয় শিল্পী নিন। তাতে দর্শক ও সিনেমার গ্রহন যোগত্যা বাড়বে।

মেকাপ

চলচ্চিত্র সব চেয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট মেকাপ আপনার মেকাপ চলচ্চিত্র চরিত্র কে ফূটিয়ে তুলবে। মেকাপের সাথে অনেক দিক জড়িতে যেমন:লোকেশন, চরিত্রধারন,রঙ ইত্যাদি।
তাই আপনি স্ক্রিপ্ট লেখার পাশাপাশি মেকাপে গুরুত্ব দিবেন। এজন্য মেকাপ আর্টিস্ট নিন।

রিহার্সাল

সব কিছু ঠিক থাক থাকলে এবার আমি আমার চলচ্চিত্র রিহার্সাল করাব। রিহার্সাল এতটা জরুরি একটা বিষয় তবুও অনেকে বিষয়টি হালকা রকম দেখে আমি মনে করে আপনি স্ক্রিপ্ট পড়া ও রিহার্সাল করিয়ে নিবেন এতে শুটিং এর সময় বাচে। যেমন, আর্টিস্ট এর দুর্বলতা বুঝতে পারবেন। শুটিং সময় বাচাবে, অভিনয়ের দক্ষতা বাড়াবে
আর অনেক বেনিফিট শুটিং ঘাটতি চোখে পরবে। তাই শুটিং এ যাবার পূর্বে রিহার্সাল করে নিবেন।

সেট ডিজাইন

প্রথমে বলে রাখি নতুন অনেক নির্মাতারা বিষটিকে এরিয়ে যায়, বাংলাদেশে তো সেট ডিজাইন ও ব্যাংরাউন্ড স্ক্রো নিয়ে খুব গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু আপনি ভুল করবেন না। আপনি করবেন এতে দৃশ্য বা শর্ট প্রান খুযে পার সিনেমা প্রপার এক্সইটেশন হয়।
যেমন ফাইটিং লোকেশন এমন গাড়ি, মেশিন রুমের ভেতর থেকে পেট্রোল পরছে।
আশে পাশে সব মানুষ দৌড়ে পালাচ্ছে। এমন
আশা করি সংক্্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরেছি।
বিস্তারিত আর্টেকেল আছে ব্লগে।

শর্ট ডিভিশন

সিনেমার নির্মানে এ পর্যায় আপকালে শর্ট ডিভিশন করতে হবে। যেখানে আপনার প্রডাকশন কিভাবে উঠবে এর একটা নকশা তৈরি করতে হবে। যেমন কখন কিভাবে শর্ট নিবেন, কোন লোকেশন আগে শর্ট থাকবে, টাইম আর্টিস্ট কল নানা বিষয়।

শুটিং ডে

আপনি সব কিছু টিম নিয়ে পরি কল্পনা অনুযায়ী সেরে ফেলুন টাইমকে গুরুত্ব দিন নইলে শর্ট শেষ না হলেও সুর্য ঠিক অস্থ যাবে। মনোযোগ দিয়ে আশা করি শুটিং শেষ করেছেন।

পোস্ট প্রডাকশন

অনেকে মাথায় আশে না পোস্ট প্রডাকশন এটি সিনেমা ল্যাব বা সার্জারি ডিপার্টমেন্ট।
এক কথায় এডিটিং প্যানেলে
আমাদের ভালো মানের একটি পিসি দিয়ে কাজ করতে হবে কারন চলচ্চিত্র নির্মানের রগ কাট, সাউন্ড, মিউজিক, ইফেক্ট, কালার নানা সব কাজ জন্য এডিটিং প্যানেলে উপর নির্ভর করে আপনি পারলে ভালো না হলে ফ্রিলান্সার বা অনেক স্টূডিও আছে যার আপনাকে ভালোমানের এডিটিং সাপোর্ট দিয়ে দিবে।
আপনি নিজে এডিটিং জানলে আর তো কোন কথা নেই। যত পারেন এডিটিং প্যানেলে রিসোর্সে সময় দিন। ভালো আউট পুট পাবেন।

এডিটীং টিপস পেতে ক্লিক করুন।

কৃত্রিমভাবে দ্বিমাত্রিক চলমান ছবির কৌশল আবিস্কার হয় কত সালে? কিভাবে বানাতো?

১৮৬০ দশকে কৃত্রিমভাবে দ্বিমাত্রিক চলমান ছবির কৌশল আবিস্কার হয়। তখন জোস্ট্রপ এবং প্র‍্যাক্সিনোস্কোপ যন্ত দিয়ে ছবি বানানো হতো। এটি সাধারন আলোর ম্যাজিক লনঠন দিয়ে স্থীর চিত্র গুলোকে দ্রুত পরিবর্তন করে চলমান এনিমেশনে পরিনত করত,যা দর্শকের চোখে তেমন চোখে পরতো না।

প্রি-প্রডাকশন কাজ গুলো কি কি?

স্টোরি আইডিয়া (গল্প ধারনা),
স্ক্রিপ্ট,স্ক্রিন প্লে (চিত্রনাট্য) ও স্টোরি বোর্ড,সিনেমাটোগ্রাফী,সরঞ্জাম,ক্রু, লোকেশন রেকি,কাস্টিং,মেকাপ,রিহার্সাল,সেট ডিজাইন,প্রডাকশন ডিজাইন,শর্ট ডিভিশন,শুটিং ডে_

সিনেমার ধরন

ডকুমেন্টারি ফিল্ম,ফিচার ফিল্ম,হরর,সাই ফাই,অ্যাডভেঞ্চার,মিউজিকাল,মিস্টিরিয়াস,ক্রাইম,ডার্ক কমেডি

প্রথম প্রাচীনতম ইতিহাস চলচ্চিত্র কোনটি?

১৮৮৮ নির্মিত হয় প্রথম প্রাচীনতম ইতিহাস চলচ্চিত্রটি করেছিলেন লুসি লে প্রিন্স সিনেমাটির নাম ছিল ”রাউন্ডে গার্ডেন সিন”
ল্যুমিয়ের ভ্রার্তদ্বয় ও ওগু্যস্ত মারিলুই নিকোলা।
তারা পৃথিবীর প্রথম দুজন চলচ্চিত্র নির্মাতা।

চলচ্চিত্র বিদ্যা গুরুমূখি বিদ্যা না কেন?

আমি অনেকদিন ধরেই চলচ্চত্রের সাথে আছি বলতে পারেন শিখছি, শেষ কবে হবে বলতে পারছি না, বলতে পারেন আমি যেখানেই জ্ঞান আহরন করার সুযোগ পাই আমি লুফে নেই। আমি মনে করি চলচ্চিত্রের পাঠ, এক্সট্রা অডিনারি শিক্ষা চলচ্চিত্র নির্মানের জন্য জরুরি এতে চলচ্চিত্র নির্মানের বোঝা পড়াকে সহজ করে দেয়।
মনে রাখবে চলচ্চিত্র বিদ্যা গুরুমূখি বিদ্যা না।
আমার কাছে অনেকেই চলচ্চিত্র নির্মান/ কন্টেন নিয়ে প্রশ্ন করে, পরিচিত জন থেকে নেট দুনিয়ায় হর হামেশা ফিল্ম/ কন্টেন নিয়ে আগ্রহী ভাই,বন্ধুদের প্রশ্নের শেষ নেই। যেমন :আমি কিভাবে সহজে চলচ্চিত্র কাজ শুরু করতে পারি?
আমি কিভাবে শর্টফিল্ম বানাতে পারি? কি কি দরকার আছে? কিভাবে অভিনেতা খুজে পাবো? শুরুতে কি রকম বাজেট লাগতে পারে। কিরকম ভাবে আয় করা যায়? মোবাইল দিয়ে সিনেমা বানাতে পারবো কি না? এমন প্রশ্ন সম্মূক্ষিন আমি নিজেই হই।
তাই তাদের জন্য আমার চলচ্চিত্র উপর লেখাটি এযাবত কালে বাংলায় চলচ্চিত্র বিষয়ক পূর্নাঙ্গ তেমন কোন আর্টিকেল প্রকাশ করা হয় নি। আমার ৭/৮ বছরের পার্সোনাল এক্সপেরিয়ান্স সহ সব কিছুই আমি তুলে ধরব। আমার ব্লগের সাথে থাকুন চলচ্চিত্র নিয়ে এমন লেখা অনলাইনে প্রথম প্রকাশ হচ্ছে।
চলুন শুরু করা যাক তবে শুরু করার আগে একটি বিষয় বলে রাখি চলচ্চিত্র নিয়ে একটি পোস্টএ সব জানানো সম্ভব না। আপনি আমার ব্লগের ঘুরে প্রতি টপিকের পূর্নাঙ্গ তথ্য পাবেন। কোন টপিক বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

ইন্ডিয়ার বোম্বেতে প্রথম সিনেমা কত আসে?

১৮৯৬ সালের ৭ জুলাই বোম্বেতে এসেছিল প্রথম চলচ্চিত্র চার্ট নামের এক ভদ্রলোক দিয়ে তাদের তৈরি কিছু শর্ট ফিল্ম পাঠিয়েছিলেন যা দেখানো হয়েছিল সোয়াস্কি ওয়াটসন হোটেলে
যেখানে দর্শকের মধ্যে বেশিরভাগ দর্শকই ছিলেন হীরালাল সেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না কিন্তু দুই বছর পরে কলকাতায় বসে দেখেছিলেন।

Short List Contents


আমি সিনেমার নির্মানের যাত্রা কিভাবে কি নিয়ে শুরু করবেন তার সংক্ষিপ্ত নীল নকশা তুলে ধরেছি।
কোন বিষয় প্রব্লেম থাকলে কমেন্ট করুন আমি সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করব।

3 Comments
  • সত্যি দারুন লেখা, আমাদের মতন নতুন দের অনেক বেশি সহায়তা ও উৎসাহিত করেছেন। এগিয়ে যান আর আরো দারুন দারুন লেখা দিয়ে আমাদেরকে ফিল্ম মেকিং বিষয়ে আরো জানাতে থাকুন। ধন্যবাদ।

  • This is Gregory Stewart from Wyoming. We’d like to offer your business a loan to kick off the new year, to use for whatever you need. We’re reaching out to a few local companies and I just wanted to see if we can help at all. Please take a look the details I put on our page here – https://cutt.ly/lwHyBuO7

    All the best,

    Gregory Stewart – Owner
    Fast Money Locator, LLC

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is Free!!